BCS Requirements( বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা)
BCS Requirements
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বিসিএস পরীক্ষা দিতে আগ্রহী। কিন্তু বিসিএস এর বিধি-নিষেধ পুরোপুরি অজানা। আবার অনেকেই বিসিএস পরীক্ষা দেয়ার জন্য কোন কোন যোগ্যতা থাকতে হবে বা কারা কারা এ পরীক্ষা দিতে পারবেন সে ব্যাপারে অজ্ঞাত।
আমরা এখানে ধারাবাহিক ভাবে নিম্নের বিষয় গুলি উল্লেখ করার চেষ্টা করব।
নাগরিকত্ব
বয়সসীমা
শিক্ষাগত যোগ্যতা
পরীক্ষার ফি
প্রিলিমিনারী বিধিমালা
লিখিত ও ভাইভা বিধিমালা
সাধারণ ক্যাডার সমূহ
পেশাগত ক্যাডার সমূহ
মিথ্যা তথ্যের শাস্তি
নাগরিকত্বঃ-
১। প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
২। কেউ যদি এমন থাকেন যিনি সরকারে পুর্বঅনুমতি না নিয়ে কোনো বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করেছেন বা বিয়ে করার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন তারা এই পরীক্ষার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
বয়সসীমাঃ-
১। বিপিএসসি থেকে যে মাসে প্রজ্ঞাপন দেয়া হবে সেই মাসের ১ তারিখে কোনো প্রার্থীর বয়স ২১ বছরের কম বা ৩০ বছরের বেশি হলে তিনি পরীক্ষার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
২। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ,প্রতিবন্ধি এবং স্বাস্থ্য/সাধারণ শিক্ষা/ কারিগরি শিক্ষা ক্যাডারের প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ পর্যন্ত বিবেচিত হবেন।
৩।এসএসসি/সমমানের সনদে দেয়া জন্ম তারিখ দলিল হিসেবে গ্ণ্য হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ-
১। আবেদনপত্রে প্রতিটি ক্যাডার পদের জন্য আলাদা যোগ্যতা উল্লেখ করা থাকে। উক্ত যোগ্যতা থাকলে প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
২। কারোর যদি এমন থাকে যে ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছেন/ দিবেন তিনিও আবেদন করতে পারবেন তবে শর্ত হচ্ছে আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পূর্বে পরীক্ষা শেষ হতে হবে এবং আবেদন করার পরীক্ষার রুটিন ও প্রবশপ্ত্র সংযুক্ত করতে হবে।
পরীক্ষার ফিঃ-
১।দফা (খ) উল্লেখিত প্রার্থী ছাড়া অন্য সবাইকে ৭০০টাকা এবং বিধি ৩ এর দফা ১ এর অধীন প্রার্থীকে ১০০ টাকা জমা দিতে হবে।
ছবিঃ-
১।প্রার্থীকে অনধিক ৩ মাস পূর্বের ছবি আপলোড করতে হবে।
২। প্রিলি পাশ করা প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য আবেদনপত্রের নির্দিষ্ট স্থানে প্রার্থীর স্বাক্ষরযুক্ত ও প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
প্রিলিমিনারী বিধিমালাঃ-
১। ২০০ নাম্বারের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে যার সময়সীমা থাকবে ২ ঘন্টা।
২। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য প্রার্থী ১ নাম্বার পাবেন এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নাম্বার কাটা যাবে।
৩। প্রিলি সিলেবাস দেখতে এখানে ঘুরে আসতে পারেন।
লিখিত ও ভাইভা বিধিমালাঃ-
১। লিখিত পরীক্ষা হবে ৯০০ নাম্বার এ। কিন্তু যারা পেশাগত ক্যাডারে আবেদন করবেন তাদের পরীক্ষা হবে ১১০০ নাম্বারে।
২। ২০০ নাম্বারের প্রতিটি পরীক্ষা হবে ৪ ঘন্টা এবং ১০০ নাম্বারের প্রতিটি পরীক্ষা হবে ৩ ঘন্টা।
৩। ভাইভা হবে ২০০ নাম্বার এ।
৪। গড় ৫০ শতাংশ নাম্বারের বেশি পাইলে প্রার্থী পাশ বলে গণ্য হবেন।তবে কোনো বিষয়ে ৩০ শতাংশের কম নাম্বার পাইলে সেই পরীক্ষায় কোনো নাম্বার পান নাই বলে বিবেচিত হবেন।
৫। কমিশন নির্দেশ না করলে প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার উত্তর বাংলা বা ইংলিশ যে কোনো একটি ভাষায় দিতে পারবেন।
৫।মৌখিক পরীক্ষার জন্য পাস নাম্বার ৫০শতাংশ ।
লিখিত ও ভাইভার মোট নাম্বারে যার নাম্বার বেশি থাকবে তিনি ক্যাডার হিসেবে মনোনীত হবেন।
৫। লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস দেখতে এখানে ঘুরে আসতে পারেন।
প্রার্থীকে অবশ্যই (যে সার্ভিসসমূহে বিবেচিত হতে আগ্রহী) নিজের পছন্দমত সার্ভিসের অগ্রাধিকার ক্রমানুসারে তার আবেদন পত্রে উল্লেখ করতে হবে।
সাধারণ ক্যাডার সমূহঃ-
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস(আনসার)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস(নিরীক্ষা ও হিসাব)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস(সমবায়)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (শুল্ক ও আবগারি)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ইকনমিক)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিবার পরিকল্পনা)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ( খাদ্য)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পররাষ্ট্র)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (তথ্য)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পুলিশ)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ডাক)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কর)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বাণিজ্য)
পেশাগত ক্যাডার সমূহঃ-
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সমবায়)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ( মৎস)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বন)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সাধারণ শিক্ষা)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (স্বাস্থ্য)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (তথ্য)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পশুসম্পদ)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (গনপূর্ত)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (রেলওয়ে প্রকৌশল)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সড়ক ও জনপথ)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস(পরিসংখ্যান)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কারিগরি শিক্ষা)
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বাণিজ্য)
মিথ্যা তথ্যের শাস্তিঃ-
১। কোনো প্রার্থী জেনে শুনে ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রদান বা প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন করলে বা টেম্পারিং করলে বা কোনো জাল সার্টিফিকেট দাখিল করলে বা বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত সার্টিফিকেটের কোনো অংশ বা প্রবশপত্র পরিবর্তন করলে বা পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সহ প্রবেশ বা অসদুপায় অবলম্বন করলে বা পরিক্ষার হলে কোনো রকম দুর্ব্যবহার করলে উক্ত পরীক্ষা সহ কমিশন কর্তৃক অনুষ্ঠেয় পরবর্তী যে কোন পরীক্ষার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
২। নিয়োগের পর এমন কিছু তথ্য প্রমাণিত হলে বরখাস্ত ছাড়াও আইনানুগ যে কোন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই